সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নর্দান মেডিকেলে অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

রাজধানীর নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপচিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার এ অভিযোগে হাসপাতালটিতে ভাংচুর চালানো হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অভিযোগ সূত্রের বরাতে ধানমন্ডি থাকার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ডিএমসি নিউজকে জানান, আয়মুল হাসান ও ইভা নামের এক দম্পত্তি নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মোর্শেদা আখতারের নিকট হতে নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন। সম্প্রতি গর্ভবতী অবস্থায় ইভাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই দম্পত্তি চেয়েছিলেন সাধারণভাবেই তাদের বাচ্চা জন্ম দিতে। কিন্তু মোর্শেদা আখতারের পরামর্শে তারা সিজার করান।


আজাদ আরও জানান, সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারির সময় নবজাতকের গলায় নাড়ি পেঁচিয়ে বাচ্চাটি মারা যায় বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।  এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। মামলা  হলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।


এ বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. কাজিমউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাওয়া যায়নি।

মাত্র দশ সেকেন্ডে ক্যান্সার সনাক্ত!

কলমের মত দেখতে ছোট্ট একটি যন্ত্র মাত্র ১০ সেকেন্ডে ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করতে সক্ষম বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

এটির মাধ্যমে দ্রুত, নিরাপদ এবং আরও নিখুঁতভাবে টিউমার অপসারণ সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তারা।

‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ জার্নালে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ম্যাসস্পেক পেন’ ক্যান্সার কোষের ‘ইউনিক মেটাবলিজমের’ সুবিধা নিয়ে সেগুলোকে সনাক্ত করে।

ক্যান্সার কোষের ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়তে থাকা ও ছড়িয়ে পড়া থেকেই বোঝা যায় সেগুলো স্বাস্থ্যকর কোষ থেকে ভিন্ন।

অস্ত্রোপচারের সময় ক্যান্সার কোষ ঠিক কতদূর ছড়িয়ে পড়েছে তা খুঁজে বের করতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয়।

নতুন এই যন্ত্র চিকিৎসকদের ক্যান্সার কোষ সম্পূর্ণরূপে সনাক্ত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকদের একজন লিভিয়া এবার্লিন বিবিসি’কে বলেন, “এখন দেখার বিষয় হচ্ছে এটি কতটা নিখুঁতভাবে চিকিৎসা প্রয়োজন মেটাতে পারে।”

“যন্ত্রটি খুবই পরিপাটি এবং সাধারণ, সার্জনরা খুব কম সময় ব্যয়ে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।”

গবেষণাগারে ২৫৩টি নমূনার উপর যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং আগামী বছর অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহারের আগ পর্যন্ত যন্ত্রটির আরও উন্নয়নে গবেষণামূলক পরীক্ষা অব্যহত রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার, ১১ মার্চ, ২০১৭

•৫০০কেজি ওজনের এক মিশরীয় নারীর অস্ত্রোপচার হলো মুম্বাইয়ে•



বিশ্বের সম্ভবত সবচেয়ে স্থূলকায়, ৫০০ কেজি ওজনের মিশরীয় এক নারীর ওজন কমানোর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে ভারতে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে।

মুম্বাইয়ের সাঈফ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন এমান আহমেদ আবদেল আতি নামের ৩৬ বছর বয়স্ক ওই নারীর ওজন ১০০ কেজি কমানো হয়েছে।

জানুয়ারি মাসে তাকে এই অস্ত্রোপচারের জন্য ভারতে আনা হয়।
"তিনি যত দ্রুত বিমানে করে মিশরে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য আমরা তাকে যথেষ্ট সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি," বলে তিনি জানান।

তার পরিবার জানিয়েছে বিশেষভাবে ভাড়া করা বিমানে তাকে মুম্বাই আনার আগে তিনি ২৫ বছর ঘর থেকে বের হননি।

হাসপাতালের ঐ মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন আগামী মাসগুলোতে তার ওজন আরও কমবে।

মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞ সার্জেন ডা: মুফাজ্জল লাকদাওয়ালা মিশরীয় নারীর উপর এই অস্ত্রোপচার করেন।

যারা বিপদজনক মাত্রায় মোটা তাদের চিকিৎসায় শেষ চেষ্টা হিসাবে এই অস্ত্রোপচার করা হয়।

মিস আবদেল আতির পরিবার জানিয়েছে জন্মের সময় তার ওজন ছিল ৫ কেজি। এসময় তার শরীরে এলিফেন্টাইটিস রোগ ধরা পড়ে।

এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মারাত্মক আকারে ফুলে যেতে শুরু করে।
এগারো বছর বয়সে তার ওজন দ্রুত বাড়তে শুরু করে এবং সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যায়।

তার দেখাশোনা করতেন তার মা এবং বোন।
তবে গত ডিসেম্বরে ডা: লাকদাওয়ালা বিবিসিকে বলেন তার ধারণা মিস আবদেল আতির এলিফেন্টাইটিস রোগ হয়নি। তার ওজনবৃদ্ধি-জনিত লিম্ফোএডিমা হয়েছিল, যার কারণে তার পা অস্বাভাবিক মাত্রায় ফুলে যায়।


ওজন কমানোর অস্ত্রোপচার কী?


ওজন কমানোর অস্ত্রোপচারকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি। শরীরের মেদ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেলে চিকিৎসা হিসাবে এই অস্ত্রোপচার করা হয়।

এই অস্ত্রোপচারের দুটি উপায়:

•গ্যাসট্রিক ব্যান্ড, এতে পাকস্থলির আকার ছোট করার জন্য পাকস্থলির অংশবিশেষ একটা ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে অল্প খেলেই পাকস্থলি ভর্তি হয় ও ক্ষুধা মেটে।
•গ্যাসট্রিক বাইপাস, এতে গোটা পাচন প্রক্রিয়াকে অন্য পথে পরিচালিত করা হয় অর্থাৎ খাদ্য পাকস্থলিতে ঢোকে না এবং অল্প খাবার খেলে পেট ভরে গেছে এমন অনুভূতি হয়।
সূত্র:বিবিসি