মুম্বাইয়ের সাঈফ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন এমান আহমেদ আবদেল আতি নামের ৩৬ বছর বয়স্ক ওই নারীর ওজন ১০০ কেজি কমানো হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে তাকে এই অস্ত্রোপচারের জন্য ভারতে আনা হয়।
"তিনি যত দ্রুত বিমানে করে মিশরে ফিরে যেতে পারেন তার জন্য আমরা তাকে যথেষ্ট সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি," বলে তিনি জানান।
তার পরিবার জানিয়েছে বিশেষভাবে ভাড়া করা বিমানে তাকে মুম্বাই আনার আগে তিনি ২৫ বছর ঘর থেকে বের হননি।
হাসপাতালের ঐ মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন আগামী মাসগুলোতে তার ওজন আরও কমবে।
মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞ সার্জেন ডা: মুফাজ্জল লাকদাওয়ালা মিশরীয় নারীর উপর এই অস্ত্রোপচার করেন।
যারা বিপদজনক মাত্রায় মোটা তাদের চিকিৎসায় শেষ চেষ্টা হিসাবে এই অস্ত্রোপচার করা হয়।
মিস আবদেল আতির পরিবার জানিয়েছে জন্মের সময় তার ওজন ছিল ৫ কেজি। এসময় তার শরীরে এলিফেন্টাইটিস রোগ ধরা পড়ে।
এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মারাত্মক আকারে ফুলে যেতে শুরু করে।
এগারো বছর বয়সে তার ওজন দ্রুত বাড়তে শুরু করে এবং সে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যায়।
তার দেখাশোনা করতেন তার মা এবং বোন।
তবে গত ডিসেম্বরে ডা: লাকদাওয়ালা বিবিসিকে বলেন তার ধারণা মিস আবদেল আতির এলিফেন্টাইটিস রোগ হয়নি। তার ওজনবৃদ্ধি-জনিত লিম্ফোএডিমা হয়েছিল, যার কারণে তার পা অস্বাভাবিক মাত্রায় ফুলে যায়।

ওজন কমানোর অস্ত্রোপচার কী?
ওজন কমানোর অস্ত্রোপচারকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি। শরীরের মেদ বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেলে চিকিৎসা হিসাবে এই অস্ত্রোপচার করা হয়।
এই অস্ত্রোপচারের দুটি উপায়:
•গ্যাসট্রিক ব্যান্ড, এতে পাকস্থলির আকার ছোট করার জন্য পাকস্থলির অংশবিশেষ একটা ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে অল্প খেলেই পাকস্থলি ভর্তি হয় ও ক্ষুধা মেটে।
•গ্যাসট্রিক বাইপাস, এতে গোটা পাচন প্রক্রিয়াকে অন্য পথে পরিচালিত করা হয় অর্থাৎ খাদ্য পাকস্থলিতে ঢোকে না এবং অল্প খাবার খেলে পেট ভরে গেছে এমন অনুভূতি হয়।
সূত্র:বিবিসি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন